অফিসে বসের রাগী মূর্তি দেখতে হয় অনেক চাকরিজীবীকেই। কাজের চাপের কারণে মাঝেমধ্যে হয়তো বস রেগে যেতে পারেন তার অধীনস্তদের ওপর। তবে এমন অনেক বস আছেন, যিনি প্রায় প্রতিদিনই তার অধীনস্তদের ওপর রাগ ঝারতে পছন্দ করেন।
একজন বদরাগী বস কখনো আদর্শ বস হতে পারেন না। হয়তো কাজের চাপ নিতে না পেরে এমনটা করেন তিনি। হতে পারে সব সময় রেগে যাওয়াই তার স্বভাব, যা অফিসের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি যদি এমন বদরাগী বসের অধীনস্ত হন, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে আপনাকে-
১. শুনুন: যখন আপনার বস অহেতুক আপনার ওপর রাগ ঝারেন, সেসময় চুপ থাকা কষ্টকর। বেশিরভাগ কর্মচারীই সেসময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পাল্টা জবাব দেন। তবে এক্ষেত্রে কোনো প্রতিউত্তর না দিয়ে বসের কথা শোনাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার বস রেগে যাই বলুক, শুনুন। এরপর উত্তর দিন। বস যখন রেগে কথা বলে, তখন তার চোখের দিকে তাকিয়ে শুনুন কী বলছে, এ সময় তার কথার সম্মতি জানাতে মাথা ঝাঁকাতে পারেন।
২. বস রেগে আছেন তা বুঝতে দিন তাকে: হয়তো যৌক্তিক কারণেই আপনার বস রাগ দেখাচ্ছেন আপনার ওপর। এক্ষেত্রে অনেক বস অতিমাত্রায় রাগ প্রকাশ করেন, যা তার বডি ল্যাংঙ্গুয়েজে প্রকাশ পায়। সেক্ষেত্রে বসকে বুঝতে দিন যে আপনি বুঝতে পারছেন তিনি খুব রেগে আছেন। এতে এক পর্যায়ে তার রাগ কমতে পারে।
৩. বসের কথা পুনরাবৃত্তি করুন: আপনার পরের পদক্ষেপ হবে এতোক্ষণ রেগে বস যা বললেন তা পুনরাবৃত্তি করা। এতে বস বুঝবেন আপনি তার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। তবে রেগে বস যেসব নেতিবাচক কথা বলেছেন তা বলবেন না।
৪. ক্ষমা চাওয়া: আপনার কোনো ভুলের জন্য যদি বস রাগ ঝারেন, তাহলে নিজেকে নির্দোষ দাবি না করে বরং দোষ স্বীকার করে নিন। এতে এক পর্যায়ে আপনার ওপরও বসের রাগ থাকবে না।
৫. প্রশ্ন করুন: শেষ উপায় হলো বসের রাগ কমে গেলে তার কাছ থেকে জেনে নিন কী করলে আপনার ভুল শুধরাবে অথবা নিজেকে আরো উন্নত করা যাবে। এতে আপনার ব্যাপারে বসের নেতিবাচক ধারণা পাল্টাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিভিলিটি পার্টনার্স
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।